মানুষের রক্তচাপের মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থা থেকে যখন কমে যায় তখন তাকে নিম্ন রক্তচাপ বা লো ব্লাড প্রেসার বলা হয়। লো প্রেসারের কারনে শরীরের অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
প্রেসার লো হওয়ার কারনঃ
বিভিন্ন কারনে প্রেসার লো হতে পারে। অতিরিক্ত পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা ও স্নায়ুর দুর্বলতা থেকে লো ব্লাড প্রেসার হতে পারে।কোনো কারনে রক্তশূন্যতা বা পানিশূন্যতা দেখা দিলেও প্রেসার লো হয়ে যায়। ডায়রিয়া বা অত্যধিক বমি হওয়া, হজমে দুর্বলতা, খাবার ঠিকমতো বা সময়মতো না খাওয়া এবং হরমোনজনিত ভারসাম্যহীনতা এসব কারনে প্রেসার লো হতে পারে। শরীরে তাপমাত্রার তারতম্য,গ্যাসট্রিকের সমস্যা, কোন দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত থাকা, নার্ভের সমস্যা ইত্যাদি কারণেও প্রেশার লো হয়। প্রেসার লো হওয়া অনেক বড় ঝুকি। তাই সতর্ক থাকা উচিত।প্রেসার লো কিভাবে বুঝবেনঃ
প্রেসার লো হলে কিছু লক্ষন দেখা দেয় যার ফলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার প্রেসার লো। চলুন জেনে নেই প্রেসার লো হওয়ার লক্ষনগুলোঃ- মাথা ঘোরা, মাথা হালকা অনুভব হওয়া।
- চোখে ঝাপসা দেখা।
- শরীর দূর্বল অনুভব করা।
- বসা থেকে উঠে দাঁড়ালে ভারসাম্যহীন লাগা
- বমি বমি ভাব হওয়া বা বমি হওয়া।
- মাথা ঝিম ঝিম করা বা অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়া।
প্রেসার লো হলে করণীয়ঃ
প্রেসার লো হলে তা অবহেলা না করে প্রেসার নিয়ন্ত্রনে আনা উচিত। চলুন এবার জেনে নেই প্রেসার লো হলে কি করনীয়ঃ- প্রেসার লো হলে খাবার স্যালাইন খেতে হবে । কারন খাবার স্যালাইন শরীরের পানিশূন্যতা পূরন করে শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করে , এর ফলে প্রেসার বেড়ে যায়।
- প্রেসার লো হলে লবন বা লবন জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত, লবনে থাকা সোডিয়াম দ্রুত প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে।
- ঘন ঘন হালকা খাবার খান। বেশি সময় খালি পেটে থাকলে রক্তচাপ আরও কমে যেতে পারে।
- লো প্রেসারের রোগীরা অনেকক্ষন ধরে একজায়গায় বসে বা শুয়ে থাকলে উঠার সময় সাবধানে বা ধীরে উঠুন।
- সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বেশি বেশি পানি পান করা । বিশেষ করে গরমের দিনে অতিরিক্ত ঘামের ফলে শরীরে পানিশূন্যতা যেনো না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
- স্ট্রং কফি, হট চকোলেট এসব খেলেও প্রেসার বাড়ে।
- এছাড়াও পুদিনা পাতা, যষ্টি মধু, বিটের রস এসব খাবার খেলে প্রেসার বাড়ে।